ম্যালেরিয়ার টিকা অনুমোদন

Published: 7 October 2021

পোস্ট ডেস্ক :


আফ্রিকায় লাখ লাখ শিশুকে রক্ষার জন্য ম্যালেরিয়ার একটি টিকা অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর নাম আরটিএস,এস। এখন থেকে ৬ বছর আগে এই টিকা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। আফ্রিকায় তা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার থেকে তা সেখানকার শিশুদের ওপর প্রয়োগ করার কথা। এ জন্য এ দিনটিকে একটি ঐতিহাসিক দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। তিনি বলেছেন, শিশুদের জন্য বহুল প্রতিক্ষীত ম্যালেরিয়া ভাইরাসের টিকা বিজ্ঞান, শিশুদের এবং ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। প্রতি বছর এই টিকা কয়েক লাখ শিশুর জীবন রক্ষা করবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আফ্রিকাজুড়ে শিশুদের ওপর ব্যবহার করা হচ্ছে এই টিকা। তাই একে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সহস্রাব্দে সবচেয়ে প্রাণঘাতী যেসব উপসর্গ এসেছে তার মধ্যে ম্যালেরিয়া অন্যতম। এর শিকার বিশেষ করে শিশু ও নবজাতকরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর বিরুদ্ধে টিকা হলো এক মহা আবিষ্কার। এই টিকার রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক পাইলট কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে ঘানা, কেনিয়া ও মালাবিতে। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাব সাহারান আফ্রিকা ও অন্য দেশগুলোতে, যেখানে উচ্চ মাত্রায় ম্যালেরিয়া সংক্রমণ আছে, সেখানে ব্যবহার করার জন্য সুপারিশ করেছে।
ম্যালেরিয়া হলো একটি পরজীবী, যা আমাদের রক্তে আক্রমণ করে নতুন করে রক্ত উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দেয়। রক্তশোষক মশার কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাসের বিস্তার হয়। এর হাত থেকে রক্ষা পেতে আবিষ্কার করা হয়েছে ওষুধ। এ ছাড়া মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ব্যবহার করে মশারি। মশা মারতে ব্যবহার করে কীটনাশক। ম্যালেরিয়া কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে এসব প্রক্রিয়া।
এই রোগের সবচেয়ে বড় বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে আফ্রিকা। সেখানে ২০১৯ সালেই শুধু ম্যালেরিয়ায় মারা গেছে কমপক্ষে দুই লাখ ৬০ হাজার শিশু। ঘানায় আরটিএস,এস টিকার যথার্থতা ও কার্যকারিতার পাইলট প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ডা. কাওয়ামি আমপোনসা-আকিওনো। তিনি বলেছেন, আমাদের কাছে এক আনন্দের মুহূর্ত এটি। আমাদের সফলতার ফলে ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আশা করি, ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু অনেক কমে যাবে। একেবারে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসবে।