নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব
পোস্ট ডেস্ক :
টোকিও অলিম্পিকে অ্যাথলেটিকসের জন্য প্রাথমিকভাবে তিনজনকে বাছাই করেছিল বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। ৪০০ মিটার দৌড়ে দ্রুততম মানব মোহাম্মদ ইসমাঈল ও মানবী শিরিন আক্তারের সঙ্গে নির্বাচন করা হয় জহির রায়হানকে। শেষ পর্যন্ত জহিরকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ইসমাঈল। এমনকি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কাছে অভিযোগপত্রও দাখিল করেছিলেন নৌ-বাহিনীর এই অ্যাথলেট। যেকারণে ইসমাঈলকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব। তিনি বলেন, ‘ইসমাঈল ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে একটি চিঠি দিয়েছিল। তাকে বাদ দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলেছিল।
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে এই ঘটনা দেশে ও দেশের বাইরের মানুষ জেনেছে। এতে ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এজন্য প্রথমে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। এরপর ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ গেমসে টানা চতুর্থবারের মতো দ্রুততম মানব হন ইসমাঈল। এরপরও টোকিও অলিম্পিকে তাকে মনোনীত না করায় ফেডারেশনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছিলেন অ্যাথলেট নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে। ইসমাঈল বলেছিলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে অলিম্পিকের বাছাই হয়নি। আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’
ইসমাঈলের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে, গত ২লা অক্টোবর থেকে আগামী এক বছর পর্যন্ত। এসময় ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক- কোনো ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি। তবে শাস্তি কমানোর জন্য আপিল করতে পারবেন ইসমাঈল। নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে খুব খারাপই লেগেছে। আমার সংস্থা (নৌবাহিনী) এই বিষয়টির একটা সমাধানের জন্য ফেডারেশনকে চিঠি দেবে।’