মৌলভীবাজারে হরিজন পূজা মন্ডপ নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
ধুপের ধোঁয়া, ঢাক ঢোল, শাঁখ, উলুধ্বনী আর চন্ডিপাঠে মুখরিত প্রতিটা শারদ প্রাঙ্গন। এবারও দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে পৌরশহরের হরিজন যুব সংঘ।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, রৌদ্রের তীব্র তাপ উপেক্ষা করে উৎসবে মেতে উঠেছেন হাজারো সনাতন ধর্মালম্বীরা।পৌরশহরের চাঁদনীঘাট মনু ব্রীজ সংলগ্ন হরিজন সম্প্রদায়ের আয়োজনে হরিজন যুব সংঘের পূজা মন্ডপে দশ বছর ধরে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
আয়োজক নেপাল ভাস্কর জানান, প্রায় ৭০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হরিজন যুব সংঘ। প্রথমে তারা সরস্বতী পূজা করতেন, পাশাপাশি দশ বছর পূর্বে কান্তি বাসফরের উদ্যোগে রতন বাসফর, মিঠুন বাসফর, সাজন বাসফর সহ কয়েকজন মিলে শুরু করেন শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিবছরই পূজা উপলক্ষে এখানে লক্ষাধিক দর্শনার্থী আসেন। গত বছরের তুলনায় মানুষের উপচে পড়া ভীড় এবছর বেশি।
সুনামগঞ্জ থেকে দেবী দর্শনে আসা অনিমেষ রায় জানান, ‘হরিজন যুব সংঘের মন্ডপ সজ্জা খুবই সুন্দর লেগেছে, তাদের আপ্যায়ন আমি মুগ্ধ।’
সাংস্কৃতিক কর্মী নির্বেন্দু নির্ধূত জানান, স্বল্প পরিসরে অল্প সদস্যদের চাঁদা নিয়ে তারা বৃহৎ পূজার আয়োজন করেন, যা প্রশংসনীয় ও অকল্পনীয়।
হরিজন যুব সংঘের সভাপতি কাজল বাসফর জানান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী, মন্ডপে আগত দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা, নারী-পুরুষের জন্য পৃথক যাতায়াত ব্যবস্থা রাখা এবং সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ অন্যান্য নির্দেশনা মেনে এবারের দুর্গাপূজার আয়োজন করেছেন তারা।
পৌরকাউন্সিল সালেহ আহমেদ পাপ্পু জানান, হরিজন যুব সংঘের বেশিরভাগ সদস্যরা পৌরসভায় কাজ করেন। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে আমরা তাদের সঙ্গে প্রায়শই যোগাযোগ রাখছি যে কোন প্রয়োজনে তাদের পাশে আছি।