সিলেট মহানগর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল–সিলেট নগর জামায়াত

Published: 20 February 2022

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :


সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনজীবন স্থবির হতে চলেছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেও তারা মদের অবাধ লাইসেন্স দিয়ে সমাজে অরাজকতার সৃষ্টি করছে। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এভাবে ২১ বছরের উর্ধ্বে যে কেউ মদপানের অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে যুবসমাজকে নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। দেশে ইসলাম, ইসলামী শিক্ষা ও ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুনকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। একদিকে বইমেলায় ইসলামী বই প্রদর্শন ও বিক্রি অলিখিত আইনের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়েছে। অপরদিকে যুব সমাজকে মদ, মাদকতা ও বিকৃত কর্মকান্ডের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যুব সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে দেশে ব্যাপকভাবে মদপানের বৈধতা দেয়া হচ্ছে। দেশপ্রেমিক জনতা সরকারের এই অনৈতিক সিদ্ধান্ত কখনো মেনে নিবেনা। অবিলম্বে ইসলামে সম্পূর্ণরুপে হারাম ঘোষণা করা মদের অবাধ লাইসেন্স প্রদানের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে।
রোববার জামায়াত কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নগরীতে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াত নেতা মুফতী আলী হায়দার মাওলানা মুজিবুর রহমান, মু. আজিজুল ইসলাম, এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, এডভোকেট ইয়াসীন খান ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারুক সোহেল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোন যাচ্ছে। চাল, ডাল, তেল সহ নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। কম ধানে পণ্য কিনতে টিসিবির লাইনে দাড়াঁনো মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এদিকে সরকারের কোন দৃষ্টি নেই। তারা ইসলামে হারাম নিষিদ্ধ মদের অবাধ লাইসেন্স দিচ্ছে। এমনকি ২১ বছরের বয়সের উপরে যে কাউকে মদ পানের অনুমতি দিয়েছে। এছাড়া দেশে মদের বারের অবাধ লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে গোটা দেশজুড়ে মদের বারের সংখ্যা বেড়ে যাবে। মদের অবাধ লাইসেন্সের ফলে যুব সমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ মদপানে উৎসাহিত হবে। সমাজে অরাজকতা বেড়ে যাবে। তাই সরকারকে মদের অবাধ লাইসেন্সের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।