পোস্ট ডেস্ক :

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘যে জিনিস গুলোর ধারে কাছেও আমি বলি নাই সেগুলো সাংবাদিকরা প্রকাশ করেছেন। তারা কোনো উদ্দেশ্যর কারণে মিথ্যা প্রচারণা করছেন। তাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা বোধহয় তাদের শত্রু। এমন ভাবে প্রচারণা করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শত্রু বানানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে।

এটা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। আমাদের দেশে সাংবাদিকতা যারা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে। ’
আজ শনিবার দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে অ্যাসোসিয়েশন অফ ফরমার বিসিএস (এফএ) অ্যাম্বাসেডরস (এওফা)-এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি কথা বলেন।

সাংবাদিকদের দুষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি গত ২৬ তারিখে কলামিস্টদের একটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করি ঢাকা প্রেস ক্লাবে। সেখানে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি সেই বক্তব্যের সঙ্গে বিভিন্ন মিডিয়ার হেডলাইনের কোনো সম্পর্ক নেই। হেডলাইন গুলো বলেছে আমেরিকা অমুক তমুক! এই কথা আমাদের মুখেও আসেনা। গণমাধ্যম যে তথ্য দিয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক। আমাদের দেশে সাংবাদিকতা যারা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে। এদের পরিপক্কতা দরকার। যে সাংবাদিকরা এটা করেছে এটা তাদের জন্য লজ্জার বিষয়। আর আপনাদের (গোপালগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিক) জন্য দুঃখের বিষয় যে, আপনাদের সহকর্মীরা এই ধরনের বানোয়াট জিনিস প্রকাশ করেছেন। আমি অনেক সাংবাদিকদের বলেছি আপনাদের এই নিয়ে গবেষণা করা উচিত। কেন এতো নিন্মমানের এই সাংবাদিকতা। এইটা আপনাদের জন্য দুঃখের বিষয়। ’

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যারা বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রদূত ছিলেন তারা অত্যান্ত সম্মানিত লোক। আমাদের দেশকে প্রেজেন্ট করেছে বহু দেশে। তাদের অ্যাসোসিয়েশনের ৮০ জনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে নিজেকে খুব গর্বিত মনে করছি। তারা চাকরি জীবনে দেশের জন্য কাজ করেছেন ও অবসর নেওয়ার পরেও তারা কাজ করে চলেছে। এজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অ্যাসোসিয়েশন অফ ফরমার বিসিএস (এফএ) অ্যাম্বাসেডরস (এওফা) সভাপতি শমশের মোবিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান, অ্যাম্বাসেডর সোহরাব হোসেন, ফারুক শোবহান, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেদারুল ইসলাম, পৌর মেয়র শেখ মোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলামসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।