রোগীর পেটের ভেতর উড়ছে আস্ত একটা মাছি
পোস্ট ডেস্ক :
একজন ব্যক্তির কোলনে মাছির উৎপাত চিকিৎসকদের হতবাক করেছে। তিনি নিয়মিত ক্যান্সার চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। মিসৌরির কলম্বিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি হেলথ কেয়ারে রোগীর কোলনোস্কোপির সময় দেখা যায় তার কোলনে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে মাছিটি। কীভাবে পেটের ভেতরেও মাছিটি বেঁচে ছিলো সেটাই রহস্য। আমেরিকান জার্নাল অব গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজির মতে, এই ঘটনাটি খুবই বিরল কোলোনোস্কোপিক অনুসন্ধানের দিকে প্রতিনিধিত্ব করে। মিসৌরি ইউনিভার্সিটির ডা. ম্যাথেউ বেচটোল্ড বলছেন, মাছিটা শুধু বেঁচেই নেই, দিব্যি সক্রিয় রয়েছে পেটের ভেতরে। অন্ত্রের মধ্যে উড়ে বেড়াচ্ছে। এটা সত্যিই অবাক করার মতো ঘটনা। মাছি নানা রোগজীবাণুর বাহক। ডাক্তাররা বলছেন, এক একটি মাছি প্রায় তিনশোর বেশি জীবাণু বহন করতে পারে।
বছর তেষট্টির ওই ব্যক্তি প্রচণ্ড পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, ঘন ঘন বমির জ্বালায় অস্থির হয়ে ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তার সব রকম টেস্ট করে, আলট্রাসোনোগ্রাফি করতে বলেন। তখনই বিষয়টি সামনে আসে। ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি হেলথ কেয়ারের ডাক্তাররা যখন ক্যামেরার সাহায্যে রোগীর বৃহৎ অন্ত্র পরীক্ষা করেন, তখন তারা দেখতে পান যে হজম অঙ্গটি একটি সত্যিকারের অন্ত্রের ইনসেক্টেরিয়ামে পরিণত হয়েছে। মাছিটিকে লিভারের নিচে অবস্থিত ট্রান্সভার্স কোলনে পাওয়া গেছে। ওই প্রৌঢ় নিজেই বলতে পারছেন না – মাছিটা কীভাবে তার পেটে ঢুকলো। খাবারের সঙ্গে জীবন্ত মাছি তিনি গিলে ফেলেননি এটা নিশ্চিত। তাহলে কীভাবে এমন হলো? রোগী জানিয়েছেন, পেটে ব্যাথা হওয়ার মাত্র দুই দিন তিনি পিৎজা এবং লেটুস পাতা খেয়েছিলেন। ডাক্তারদের অনুমান, খাবারের সঙ্গে মাছির লার্ভা অথবা ডিম পেটে ঢুকেছিল ওই প্রৌঢ়ের।
এদিকে, ডা. ম্যাথিউ বেচটোল্ড, কলম্বিয়ার মিসৌরি হেলথ কেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট এবং যিনি এই প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করেছিলেন তিনি বলছিলেন, একটি মাছিকে অন্ত্রের মধ্যে এভাবে অক্ষত খুঁজে পাওয়ার ঘটনা তার ২০ বছরের চাকরি জীবনে শোনেননি। এর আগে, এপ্রিলে ডাক্তাররা তাইওয়ানের ৬৪ বছর বয়সী এক নারীর কান থেকে একটি মাকড়সা বের করে আনেন।