সারা দেশে ৫৩৮টি থানার কার্যক্রম চালু
বিশেষ সংবাদদাতা :
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারাদেশে বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় দেশের সব থানার কার্যক্রম। তবে সুখবর হচ্ছে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন থানার কার্যক্রম। মেট্রোপলিটনসহ এখন পর্যন্ত ৫৩৮ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
ইনামুল হক সাগর বলেন, আজ শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সারাদেশের সর্বমোট ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৩৮টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মেট্রোপলিটনের ১১০টি থানার মধ্যে ৮৪টি এবং জেলার ৫২৯টি থানার মধ্যে ৪৫৪টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরসহ সারা দেশে বহু থানায় হামলা হয়। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র ও মালামাল লুট এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়।
এরপরই সারা দেশের থানাগুলো পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে। সরকারে পটপরিবর্তনের পর শীর্ষ পদে রদবদল হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যেই সব ইউনিটের পুলিশ সদস্যদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন আইজিপি।
আর সারা দেশে চলমান অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধ করে স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্ত অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা।
এদিকে, জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে দেশব্যাপী স্থাপিত ২০৬টি ক্যাম্পের মাধ্যমে সেনা মোতায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।