এক শতকের রেকর্ড ভাঙলেন ট্রাম্প
পোস্ট ডেস্ক :
আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাহী আদেশে সই করে প্রায় এক শতকের রেকর্ড ভেঙেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৭৯টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। সরকারি তথ্য বলছে, ১৯৩৭ সালের পর থেকে এত অল্প সময়ের মধ্যে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেননি। ট্রাম্পের আদেশের মধ্যে পররাষ্ট্রনীতি থেকে শুরু করে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার বিষয়ক নানা ইস্যু রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপিকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।
এতে বলা হয়, কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কম থাকায় এবং মার্কিন সরকার পুনর্গঠনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাণিজ্য, নাগরিক অধিকার এবং ফেডারেল আমলাতন্ত্রকে লক্ষ্য করে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন ট্রাম্প।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩৭ সালের পর থেকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এত অল্প সময়ের মধ্যে এত নির্বাহী আদেশে সই করেননি। যদিও অনেক ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ল এর জাস্ট সিকিউরিটির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ট্রাম্পের জারি করা নির্বাহী আদেশের মধ্যে ১৬টি আদেশ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ট্রাম্প। এরপর এ বছরের জানুয়ারির ২০ তারিখ তিনি আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এরপর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি।
ট্রাম্পের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে শুল্ক, জীবাশ্ম জ্বালানিতে সহায়তা, সার্বভৌম তহবিল গঠন ও অর্থনীতি। এখন পর্যন্ত এ সম্পর্কিত ২৭টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। এর মধ্যে ১২টি বিষয় বাণিজ্য ও শুল্ক সম্পর্কিত, যেমন কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্কের হুমকি এবং চীনা পণ্যে আপাতত ১০ শতাংশ শুল্ক। বৈচিত্র্য ও লিঙ্গ, ট্রান্সজেন্ডার, কর্মক্ষেত্রে বর্ণবাদ, লিঙ্গবৈষম্যের মতো কর্মসূচির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাসম্পর্কিত ১৪টি আদেশে সই করেছেন তিনি। ট্রাম্পের আরেকটি অগ্রাধিকার অভিবাসন বিষয়ে ১৫টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। ট্রাম্পের ছয়টি নির্বাহী আদেশে ইলন মাস্কের অধীন তথাকথিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সিকে (ডিওজিই) কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ট্রাম্প স্বাস্থ্যবিষয়ক ১৩টি এবং প্রযুক্তিবিষয়ক ১০টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন।