পশ্চিমবঙ্গের হিংসার  ঘটনার প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতির নিকট বিজেপি’র স্মরকপত্র

Published: 5 May 2021

করিমগঞ্জ (ভারত) সংবাদদাতা :


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শপথ গ্রহণ নিচ্ছেন টিক তখন রাজ্যে নির্বাচনের পর হিংসার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বিজেপি । বুধবার দেশের প্রতিটি জেলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের চলিত হিংসার ঘটনার জন্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মরকপত্র প্রেরণ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের পর ডজনের অধিক বিজেপির নেতা কর্মীরা খুন হয়েছে, এক যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ।
হাজারের উপর পরিবার ঘর ছাড়া। আসাম সহ অন্যান রাজ্যে প্রানের ভয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে । এক কথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় আচড়ে পড়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমের করিমগঞ্জ জেলায়ও। মঙ্গলবার গেরুয়া ব্রিগেডের করিমগঞ্জ জেলা কমিটি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল দুপুরে করিমগঞ্জের জেলা শাসক আম্বামাথান এম পির মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি সমীপে প্রেরিত এক স্মারকপত্রে তারা উল্লেখ করেন, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম বাংলার বহু আসনে বিজেপি পরাস্থ হয়েছে। কিন্ত, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই তৃণমূলের নেতা -কর্মিরা বিজেপি কার্যকর্তাদের উপর হামলা শুরু করেন। দিন দুপুরে বাড়ি ঘর ভাঙ্চুর, লুটপাট এবং রক্তারক্তির ঘটনা ঘটছে। পশ্চিমবঙের তৃণমুলের পৃষ্টপোষক পুলিশ বিভাগ নীরব দর্শক বলে বিজেপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৪৮ ঘন্টায় প্রায় দুই ডজন বিজেপি কার্যকর্তার প্রাণহানি ঘটেছে। এমনকি বহু মহিলা এবং বিজেপি কার্যকর্তা বর্তমানে অন্যত্র আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।
বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এসব দলবদ্ধ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কঠোর হাতে দমন করতে ব্যর্থ। বহু স্থানে পুলিশ মামলা গুলো নথিভুক্ত করতে অনিহা প্রকাশ করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাদের বিরুদ্বে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তারা আবেদন জানান।
জেলা শাসকের কার্যালযের সামনে সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বিজেপি নেতারা জানান, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে বর্তমানে সবচেয়ে বড় কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটছে। এসব বর্বর হামলা অচিরে বন্ধ হওয়া উচিত। একটি স্বাধীন দেশে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকা কি অপরাধ। পশ্চিমবঙ্গে ঘটনা সমূহ দেখে মনে হচ্ছে এই রাজ্য নতুন করে স্বাধীনতা লাভ করেছে। প্রাণের ভয়ে মানুষ অন্যত্র আশ্রয় গ্রহণ করছেন। এসব অগনতান্ত্রিক এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা বন্ধ করার জোরালো আওয়াজ তুলেন তারা। বিজেপির জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য ছাড়াও ডা. মানস দাস, অমরেশ রায়, কিশোর দে, সঞ্জীব নন্দী, সুদীপ চক্রবর্তী, নিশিকান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন।