কলার ছবি ফেসবুকে দেয়া নিয়ে তুলকালাম, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
জুড়ী প্রতিনিধি :
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কলার ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় রোববার (৬ জুন) জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন করেছেন জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন শাবেল ও স্বপন মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।
রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় সংবাদ সম্মেলনে জুড়ী ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন শাবেল বলেন, আমার গ্রামের ছেলে সালমান হোসেন সালমান শাহের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে আমি সালমানের পক্ষে কথা বলায় কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে কাল ও আজ বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন- ‘আমি জুড়ী কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক পরে উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। বিভিন্ন কারণে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের একটি তদন্ত টিম জুড়ীতে তদন্ত করে যায়। আমার বিরুদ্ধে কোন কিছু পায় নি। এরপর আমাকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়। আমার গ্রামের ছেলে সালমান শাহর জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছিল, যেখানে চা দোকানী স্বপন মিয়া জড়িত। আমি সালমানের অসহায় পরিবারের পক্ষে কথা বলায় একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। স্বপন মিয়ার ছেলেরা কয়েকদিন পূর্বে আমার এক সহকর্মী নাইমের উপর হামলা করেছে। আমি এর প্রতিবাদ করায় স্বপন গংরা আমার বিরুদ্ধে ‘স্বপনকে তুলে নিয়ে মারধর করেছি’ এমন ভুল তথ্য দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। জামায়াত-বিএনপির লোকেরা সেগুলো প্রচার করছে। এমনকি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন সত্য-মিথ্যা না জেনে সেটি শেয়ার দিয়েছেন। স্বপন মিয়ার উপর হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
শাবেলের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ুন রশীদ, কিবরিয়া ইসলাম ইমন, নাইম আহমদ, আলীম উদ্দিনসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করেন স্বপন মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন- ‘আমার ছেলে নাইম দুই মাস আগে দুবাই যায়। কয়েকদিন আগে তার কফিল তাকে কলা খেতে দেয়। কলার ছবি সে ফেসবুকে ছাড়ে। এতে ছাত্রলীগের সভাপতি শাবেল ক্ষিপ্ত হয়। তার বাবা কলা ব্যবসা করতেন, এ জন্য সে মনে করেছে তাকে বিদ্রুপ করে নাইম ফেসবুকে ছবি ছেড়েছে। শাবেলের পক্ষে মর্তুজ আলী আমাদের কাছে বিচার প্রার্থী হলে আমার স্বামী ফোন করে আমার ছেলে নাইমকে গালাগালি করে ছবি ডিলিট করান এবং কয়েকজন লোক নিয়ে শাবেলের বাড়িতে গিয়ে বারবার তার মায়ের পায়ে ধরে মাফ চেয়েও মাফ পান নি। একে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে গার্লস স্কুলের সামনে থেকে শাবেল, হুমায়ুন, কিবরিয়াসহ কয়েকজন লোক আমার স্বামী স্বপন মিয়াকে ৮/১০টি মোটর সাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। নিউ মার্কেটের উপরে নিয়ে আমার স্বামীকে মারধর করে শাবেলের পায়ে ধরে মাফ চাওয়ানো হয় এবং ভিডিও করা হয়। আমার স্বামী এখন সিলেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।