আত্মীয়তার সম্পর্ক বিনষ্ট করবেন না

Published: 17 September 2021

।। জাফর আহমাদ।।


প্রযুক্তির প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে। পৃথিবী খুব ছোট হয়ে এসেছে। সবকিছু মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে বটে। কিন্তু কিছু মানবীয় গুণ কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে। তন্মধ্যে একটি হলো, আত্মীয়-স্বজন। এক সময় আত্মীয়-স্বজন মধুর প্রীতিকর একটি জনগোষ্ঠী ছিল। কিন্তু এখন আর কেউ তাদের খোঁজ-খবর রাখে না। অথচ আল কুরআন ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নায় আত্মীয়-স্বজনের ব্যাপারে অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীন বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে। নিম্নে কুরআনের আয়াতগুলো ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসগুলোর মর্মার্থ উপলব্ধি করুন।
আল্লাহ তা’আলা বলেন, “হে মানবজাতি! তোমাদের রবকে ভয় করো। তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি প্রাণ থেকে। আর সেই একই প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন তার জোড়া। তারপর তাদের দু’জনার থেকে সারা দুনিয়াময় ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। সেই আল্লাহকে ভয় করো যার দোহাই দিয়ে তোমরা পরস্পরের কাছ থেকে নিজেদের হক আদায় করে থাকো এবং আত্মীয়তা ও নিকট সম্পর্ক বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চিতভাবে জেনো রাখো, আল্লাহ তোমাদের ওপর কড়া নজর রাখছেন।”( নিসা ঃ ১) ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসাবে সকলের অধিকার সংরক্ষণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ব্যক্তি হিসাবে প্রতিটি মানুষের, গোষ্ঠী হিসাবে প্রতিটি গোষ্ঠীর এবং জাতি হিসাবে প্রতিটি জাতির অধিকার সংরক্ষণে ইসলামের চেয়ে অন্য কোন জীবন ব্যবস্থাই পরিপূর্ণ নয়। এ জন্য আল কুরআনকে বলা মানবতার ম্ুিক্তর প্রধান বার্তা এবং এর ধারক হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হয় মানবতার মহান মুক্তির দূত। ইসলাম অন্যান্য ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ন্যায় আত্মীয়-স্বজনদের অত্যধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে বিধায় ইসলামকে বলা হয় মানবতার মুক্তির একমাত্র মহান সংবিধান। উল্লেখিত সূরার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষের পারস্পরিক অধিকারের কথা আলোচনা করা হয়েছে, বিশেষ করে পারবারিক ব্যবস্থাপনাকে উন্নত ও সুগঠিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন-কানুন বর্ণনা করা হয়েছে। সারা কুরআন জুড়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে আত্মীয়-স্বজনদের বর্ণনা এসেছে। আল্লাহ তা’আলা বলেন,“আল্লাহ ন্যায়নীতি, পরোপকার ও আত্মীয়-স্বজনদেরকে দান করার হুকুম দেন।”(সুরা আন নহলঃ৯০)
এ আয়াতে হুকুম দেয়া হয়েছে যে, আত্মীয়-স্বজনদেরকে দান করা এবং তাদের সাথে সদাচরণ করা। এটি আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ইহ্সান করার একটি বিশেষ ধরন নির্ধারণ করে। এর অর্থ শুধু এই নয় যে, মানুষ নিজের আত্মীয়দের সাথে সদ্ব্যবহার করবে, দুঃখে ও আনন্দে তাদের সাথে শরীক হবে এবং বৈধ সীমানার মধ্যে তাদের সাহায্যকারী ও সহায়ক হবে। বরং এও এর অর্থের অন্তরভুক্ত যে, প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তি নিজের ধন-সম্পদের ওপর শুধুমাত্র নিজের ও নিজের সন্তান-সন্তুতির অধিকার আছে বলে মনে করবে না বরং একই সংগে নিজের আত্মীয়-স্বজনদের অধিকারও স্বীকার করবে। আল্লাহর শরীয়াত প্রত্যেক পরিবারের সচ্ছল ব্যক্তিবর্গের ওপর এ দায়িত্ব অর্পণ করেছে যে, তাদের পরিবারের অভাবী লোকেরা যেন অভ’ক্ত ও বস্ত্রহীন না থাকে। তার দৃষ্টিতে কোন সমাজের এর চেয়ে বড় দূর্গতি আর হতেই পারে না যে, তার মধ্যে বসবাসকারী এক ব্যক্তি প্রাচুর্যের মধ্যে অবস্থান করে বিলাসী জীবন যাপন করবে এবং তারই পরিবারের সদস্য তার নিজের জ্ঞাতি ভাইয়েরা ভাত-কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকবে।
ইসলাম পরিবারকে সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গণ্য করে এবং এ ক্ষেত্রে এ মূলনীতি পেশ করে যে, প্রত্যেক পরিবারের গরীব ব্যক্তিবর্গেও প্রথম অধিকার হয় তাদের পরিবারের সচ্ছল ব্যক্তিবর্গের ওপর,তারপর অন্যদের ওপর তাদের অধিকার আরোপিত হয়। আর প্রত্যেক পরিবারের সচ্ছল ব্যক্তিবর্গের ওপর প্রথম অধিকার আরোপিত হয় তাদের গরীব আত্মীয়-স্বজনদের, তারপর অন্যদের অধিকার তাদের ওপর আরোপিত হয়। এ কথাটিই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। তাই বিভিন্ন হাদীসে পরিস্কার বলে দেয়া হয়েছে, মানুষের ওপর সর্বপ্রথম অধিকার তার পিতামাতার, তারপর স্ত্রী-সন্তানদের, তারপর ভাইবোনদের, তারপর যারা তাদের পরে নিকটতর এবং তারপর যারা তাদের পরে নিকটতর। এ নীতির ভিত্তিতেই হযরত ওমর রাঃ একটি ইয়াতিম শিশুর চাচাত ভাইদেরকে তার লালন-পালনের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে বাধ্য করেছিলেন। তিনি অন্য একজন ইয়াতীমের পক্ষে ফায়সালা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, যদি এর কোন দূরতম আত্মীয়ও থাকতো তাহলে আমি তার ওপর এর লালন পালনের দায়িত্ব অপরিহার্য করে দিতাম। অনুমান করা যেতে পারে, যে সমাজের প্রতিটি পরিবার ও ব্যক্তি এভাবে নিজেদের ব্যক্তিবর্গের দায়িত্ব নিজেরাই নিয়ে নেয় সেখানে কতখানি অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, কেমন ধরনের সামাজিক মাধুর্য এবং কেমনতর নৈতিক ও চারিত্রিক পুতঃ পরিত্র, পরিচ্ছন্ন ও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে।
মৃত ব্যক্তির পরিতক্ত সম্পত্তি বন্টনের সময় তার জীবিত ওয়ারিশদারদেরকে বলা হয়েছে যে, তোমাদের দুরবর্তী আত্মীয়-এয়তিম ও মিসকীন যাদের মিরাসে কোন অংশ নেই তাদের সাথে যেন হৃদয়হীন ব্যবহার করা না হয়। একটু ইহসান, একটু ঔদার্যের পরিচয় দিয়ে পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে তাদেরকেও কিছু দেয়া উচিৎ। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে তারা যেন ফিরে না যায়। যদি এমনটি হয় তবে এর চেয়ে অমানবিক, নির্মম ও হৃদয়বিদারক আচরণ আর কিছুই হতে পারে না। আল্ল¬¬াহ তা’আলা বলেনঃ“ ধন-সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার সময় আত্মীয়-স্বজন,এতিম ও মিসকিনরা এলে তাদেরকেও ঐ সম্পদ থেকে কিছু দিয়ে দাও এবং তাদের সাথে ভালোভাবে কথা বলো।” (সুরা নিসাঃ-৮)
তাছাড়া যারা মিরাসে কোন অংশ পায় না তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক তুতীয়াংশ অসীয়াত করতে পারে। যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তোমাদের কারো মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে এবং সে যদি ধন-সম্পত্তি রেখে যায়, তবে তার পিতামাতার ও নিকট আত্মীয়দের জন্য প্রচলিত ন্যায়নীতি অনুযায়ী অসীয়াত করাকে তোমাদের ওপর ফরয করে দেয়া হয়েছে। মুত্তাকী লোকদের ওপর উহা নির্দিষ্ট অধিকার বিশেষ।”(বাকারা ঃ ১৮০) এ ধরণের অসিয়াত ব্যক্তি তার নিজের গৃহে বা পরিবারে যারা সাহায্য লাভের মোখাপেক্ষী অথবা পরিবারের বাইরে যাদেরকে সে সাহায্য লাভের যোগ্য মনে করে এমন সব ক্ষেত্রে সে এক তৃতীয়াংশ থেকে অসিয়াত করে যেতে পারে।
আল্লাহ তা’আলা বলেন, “কাজেই (হে মু’মিন) আত্মীয়-স্বজনদেরকে তাদের অধিকার দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরকেও (দাও তাদের অধিকার)। এ পদ্ধতি এমন লোকদের জন্য ভালো যারা চায় আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং তারাই সফলকাম হবে।”(রূমঃ৩৮) এখানে আল্লাহ তা’আলা আত্মীয়-স্বজন, মিসকীন ও মুসাফিরকে দান-খয়রাত করার কথা বলেননি। বরং বলা হচ্ছে, এ তার অধিকার এবং অধিকার মনে করেই তোমাদের এটা দেয়া উচিৎ। এ অধিকার দিতে গিয়ে যেন তোমার মনে এ ধারণা না জন্মায় যে, তার প্রতি তুমি অনুগ্রহ করছো এবং তুমি কোন মহান দানশীল সত্বা আর সে কোন একটি সামান্য ও নগণ্য সৃষ্টি, তোমার অনুগ্রহ ভক্ষণ করেই সে জীবিকা নির্বাহ করে। বরং এ কথা ভালভাবে তোমার মনে গেঁথে যাওয়া উচিৎ যে, সম্পদের আসল মালিক আল্লাহ যদি তোমাকে বেশী এবং অন্য বান্দাদেরকে কম দিয়ে থাকেন, তাহলে এ বর্ধিত সম্পদ হচ্ছে এমন সব লোকদের অধিকার যাদেরকে তোমার আওতাধীনে তোমাকে পরীক্ষা করার জন্য দেয়া হয়েছে। তুমি তাদেরকে এ অধিকার দান করছো কি করছো না এটা তোমার প্রভু দেখতে চান। যে সব লোক এ অধিকারগুলো জানে না এবং এগুলো প্রদান করে না তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অন্যান্য যত কাজই করুক না কেন তারা সাফল্য লাভ করতে পারবে না।
ইসলামী জীবন পরিপালনের নিমিত্তে আত্মীয়-স্বজন দাওয়াতের হকদার। আল্লাহ তা’আলা বলেন,“(হে মুহাম্মদ!) নিজের নিকটতম আত্মীয়-পরিজনদেরকে ভয় দেখাও এবং মু’মিনদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করে তাদের সাথে বিনম্র ব্যবহার করো। কিন্তু যদি তারা তোমার নাফরমানী করে তাহলে তাদেরকে বলে দাও, তোমরা যা কিছু করো আমি তা থেকে দায়মুক্ত।”( শু’আরাঃ১৪-১৫) এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবার আগে নিজের দাদার সন্তানদের ডাকলেন এবং তাদের একেকজনকে সম্বোধন করে বললেন,“হে বণী আব্দুল মুত্তালিব, হে আব্বাস, হে আল্লাহর রাসুলের ফুফি সফীয়াহ, হে মুহাম্মাদের কন্যা ফাতিমা, তোমরা আগুনের আযাব থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার চিন্তা করো। আমি আল্লাহর আযাব থেকে তোমাদের বাঁচাতে পারবো না। তবে হাঁ আমার ধন-সম্পত্তি থেকে তোমরা যা চাও চাইতে পারো।” সুতরাং আত্মীয়-স্বজনদের শুধুমাত্র দুনিয়ার অধিকার আদায় করে ক্ষান্ত থাকলে চলবে না বরং তাদের আখিরাতের মুক্তির সুবন্দোবস্ত করতে হবে। এটিও তাদের অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা দুনিয়ার জীবনের অধিকার হতে আরো মারাত্বক অন্যায় হবে। এ জন্য তাদেরকে দাওয়াত প্রদান করতে হবে। কেউ যদি দাওয়াত গ্রহণ না করে, তখন আমার কি দায়িত্ব তাও উল্লেখিত আয়াতে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা মহাপাপ এবং একে ঈমানের সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে। আত্মীয়কে আরবী ভাষায় রাহেম কলা হয়। আল্লাহ তা’আলার একটি গূণবাচক নাম হলো রহমান। রহমান ও রাহেম একই ধাতু হতে নির্গত। হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়তা (রহমানের সাথে মিলিত) ঢাল স্বরূপ। যে ব্যক্তি এর সাথে সাথে সম্পর্ক জুড়ে রাখে আমি তার সাথে সম্পর্ক জুড়ে রাখি। আর যে লোক এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি। (বুখারী) হযরত যুবাইর ইবনে মুতয়ীম রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।(বুখারী-মুসলিম) হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“রেহেম (আত্মীয়তা) আরশের সাথে ঝুলানো আছে, সে বলে যে আমাকে মিলিয়ে রাখবে আল্লাহ তাকে মিলিয়ে রাখুন, এবং যে আমাকে কেটে দিবে আল্লাহ তাকে কেটে দিন।”(বুখারী-মুসলিম)
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদের দেশ পাশ্চাত্যের অনুসরণ করতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন তো দূরের কথা আল্লাহ তা’আলার পরে যারা সবচেয়ে বেশী সম্মান ও সদ্ব্যবহার পাওয়ার কথা, তারা আজ বৃদ্ধাশ্যমে স্থান পাচ্ছে। পাশ্চাত্যের পারিবারিক ব্যবস্থার দুষ্টচক্র এসে আমাদের সমাজ ও সভ্যাতাকে গ্রাস করতে বসেছে। ফলে মানুষের মধ্যে দয়া-মায়া আজ অনেকটা উবে গেছে। এবং এ কারণেই কেউ এখন আর আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর রাখেন না। এমন আত্মীয়-স্বজন আছেন, যারা হয়তো টাকা-পয়সার হিতাকাঙী নয়, তারা শুধুমাত্র একটু দেখা-সাক্ষাৎ, একটু খোঁজ-খবর নেয়ার আশায় উদগ্রীব হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের অনেকেই এতটুকু সময় ও সুযোগ দেয়ার মানসিকতা পোষণ করি না। এ ধরণের সমাজ দ্বারা আমরা কতটুকু সফলতা লাভ করতে পারি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবি আওফা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহকে সঃ বলতে শুনেছি, যেই সম্প্রদায়ের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী লোক আছে সেই সম্প্রদায়ের ওপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয় না।(বায়হাকী)
আত্মীয়দের সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাদের হক আদায়ের মাধ্যমে রিযিক ও হায়াত বাড়ে। আনাস ইবনে মালেক রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,আমি রাসুলুল্লাহকে সা: বলতে শুনেছি তিনি বলেন,“যে ব্যক্তি কামনা করে তার রিযিক প্রশস্ত করে দেয়া হোক এবং তাঁর আয়ু দীর্ঘ করা হোক সে যেন তার আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে(বুখারী: ৫৯৮৫, মুসলিম: ৪৬৩৯)