বিশ্বের সেরা দেশাত্মবোধক কবিতার শীর্ষ দশটি গুণ: স্বাধীনতা দিবসের নতুন কবিতা

Published: 25 March 2022

শফি আহমেদ

রঙের আঁতুড়ঘর ফাল্গুনের সাতরঙ নিয়ে আট ফাল্গুনে আবির্ভাব হয়েছিল বিশ্বসভায় বাংলার সেরা অবদান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অতঃপর স্মৃতির দিন গনা দুই কুড়ি পূর্ণ না হতেই আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ।

দরজায় ঋতুরাজ বসন্তের ডাক। ফুল-মল্লিকাদের রঙ্গ ও রুপে নিজেকে সাজাতে মেতে উঠেছে সারা বিশ্ব। এমন সিধু ভরা মোক্ষম বসন্ত লগনে বকুল-বিছানো পথে। বাজিয়ে কাব্য লীলা বেণু বাসুরী ইনশাহ আল্লাহ আসছে আমার লেখা স্বাধীনতা দিবসের নতুন কবিতা Independent Bangladesh

 

আবৃতি করেছেন জাঁদরেল ব্রিটিশ ভয়েস একটার সাইমন জ্যাকসন।

 

বাঁশির সুর দিয়েছেন ভারতীয় সিনেমার বাঁশিবাদক

মিটুন বৈরাগি।

 

প্রযোজনায় চ্যানেল এস।

 

বিশ্বের সেরা দেশাত্মবোধক কবিতার শীর্ষ দশটি গুণ

 

১. অনুপ্রেরণা 2. আন্তরিক এবং দেশপ্রেমের একটি দৃঢ় অনুভূতি প্রকাশ করে ৩. উত্তম লেখা যা সুন্দর ভাষা ধারণ করে ৪. চিন্তা-উদ্দীপক এবং মানুষকে তাদের নিজস্ব দেশপ্রেমের প্রতিফলন ঘটায় ৫. জাতি বা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে তাদের জাতীয় গর্ববোধ বৃদ্ধি করে ৬. পড়তে সহজ এবং সকল স্তরের পাঠকদের প্রশংসা অর্জন করে। ৭. বিভিন্ন জাতি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে সহানুভূতি এবং বোঝাপড়া গড়ে তুলতে সাহায্য করে, তাদের মধ্যে শান্তি এবং সহযোগিতার প্রচার করে ৮. দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং তা সফল হতে দেখার ইচ্ছা জাগায়। ৯ দেশপ্রেম দেখানোর দুর্দান্ত উপায় সৃষ্ট করে দেয়। ১০ শিক্ষণীয় রূপে বেবহার করা যেতে পারে।

 

একটি বাংলাদেশী দেশাত্মবোধক কবিতায় এই সব গুনের প্রতিফলন দেখা যেতে পারে। সাথে মিলতে পারে আরেকটি অনন্য গুন্ যা এই দেশের মাটি ও প্রকৃতির অফুরন্ত গুন্ ও সুন্দর্য। এটি সত্যিই বিশেষ কিছু। বাংলাদেশ অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি।

 

উপরে বর্ণিত দশ গুনে গুণান্বিত আর সাথে থাকলে এই বাড়তি গুনটি। যা হয় সে দেশের মাটি ও নিসর্গের সুন্দর্যে মুখর। তখন একটি দেশের দেশাত্মবোধক কবিতা শুধু একটি দেশের গণ্ডি সীমায় সীমাবদ্ধ থাকেনা। হয়ে উঠে একটি সত্যিকারের বাঁধভাঙা কলা। যা একটি দেশের দেশাত্মবোধক কাব্য হয়েও দেশ বিদেশের পাঠক কে আমোদিত করে। আকৃষ্ট করে।

 

কারণ এতে মূলত এক ধরিত্রীর বহুরূপ প্রকাশ পায়। পৃথিবীর সব দেশিই সুন্দর। ইহার কিছু না কিছু আলগ রূপ রয়েছে। যেমন স্কটল্যান্ডের সেগুলির যা সহজেই দর্শকের মন লোভে নেয়। সেখানে লুইস এবং হ্যারিসের দ্বীপপুঞ্জের উপকূলরেখা বিশেষত সুন্দর সাদা বালির সমুদ্র সৈকত যা ক্যারিবিয়ানকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

 

এবার যদি আমরা দৃষ্টি ফিরাই প্রাচ্য। পৃথিবীতে ভূস্বর্গ বলে খ্যাত কাশ্মীরের কথা না হয় বাদ দিলাম। আমার যদি চোখ রাখি ইরানের দিকে সেখানে তেহরান থেকে আট ঘণ্টার পথ গিলান প্রদেশের অরণ্যগুলি অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি এলাকা যা পর্যটকদের জন্য সুন্দর হাইকিং ট্রেইল অফার করে। সুগভীর নিম্নভূমি এবং পর্বত বনের মিশ্রণ দক্ষিণ ইরানের কঠোর ল্যান্ডস্কেপের সাথে একটি আনন্দদায়ক বৈপরীত্য তৈরি করে যা দর্শক কে অনায়াসে মাতিয়ে তুলে।

 

তাহলে আমরা কি দেখলাম। এক দেশে প্রাকৃতিক সুন্দর্য বিরাজ করছে সৈকতে আরেক দেশে সেই রূপের মেলা বসেছে গভীর অরণ্যে। এটা এক পৃথিবীর বিচিত্র রূপ। তাই বোধহয় সব সুন্দর্যের আধার স্রষ্টা আল্লাহ পাক আমাদেরকে পৃথিবী ঘুরে দেখার জন্য কোরান মজীদে উৎসাহ দিয়েছেন।

 

এক পৃথিবীর অপরূপ যখন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশ পেল কি রূপ? এ হিসেব এক মাঘে অথবা বসন্তে দেওয়া যায়না। ভোরের বিহঙ্গ যতই ছুঁটে যায় দূর নীলিমায় বার বার ফিরে আসে চির সবুজ বাংলার সন্ধ্যা নীড়ে।

 

দরজায় ঋতুর রাজা বসন্তের কড়া নাড়া যে কী মধুর। সারা বিশ্ব বসন্তের ভক্ত। সামার আসতে না আসতে একটু উষ্ণ রবির সুলুক সন্ধানে পাখা মেলেন লক্ষ ব্রিটেনবাসি। ছুটে যান তুর্কি, মরক্কো, দুবাই আরো কত নাম না জানা দেশ বিদেশে।

 

রোদ্দুরে নতুন মাত্রা যোগ করে নিসর্গের ফুল খেলার সমতাল যখন পরি লক্ষিত হয় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। ঝির ঝির হাওয়ায় অপরূপ ফাগুনের আগাম ঘটে শুধু একটি দেশে। বাংলাদেশে। এদেশের উদ্ভব, এদেশের মাতৃভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা, দেশাত্মবোধক কাব্য কলা আর অপরূপ বসন্ত সবই যেন আবর্তন করে এই দেশের মাটির শিকড় ঘিরে।

 

ইংরেজিতে লেখা স্বাধীনতা দিবসের উপর আমার এই নতুন কবিতা পড়লে অথবা শুনলেও আপনার তাই মনে হবে বলে আমার ধারণা।