অবৈধ অভিবাসন নিয়ে ইইউ কমিশনারের কঠোর বার্তা

Published: 30 October 2022

পোস্ট ডেস্ক :


বাংলাদেশ সফরে আসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) স্বরাষ্ট্র এবং অভিবাসন বিষয়ক কমিশনার ইলভা জোহানসন। আগামী ১০ই নভেম্বর তিনি ঢাকায় পা রাখবেন। দু’দিনের সফরে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গেও অভিবাসনকে আগামী দিনে আরও নিরাপদ ও টেকসই করার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন। তাছাড়া, অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে ইইউ’র তরফে কঠোর বার্তা দেয়া হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ১১ই নভেম্বর তার ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঢাকাস্থ ইইউ কূটনৈতিক মিশন এই মুহূর্তে আসন্ন বৈঠকগুলো নিয়ে নিরলস কাজ করছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘ তিন বছর ধরে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনকারী ইলভা জোহানসন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দায়িত্ব নেয়ার আগে (২০১৪-২০১৯) সুইডেনের কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগেও দুই দফায় তিনি বেশ কয়েকবছর দেশটির মন্ত্রী ছিলেন। গত ২০শে মে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যালোচনা ফোরামের (আইএমআরএফ) সাধারণ বিতর্ক পর্বে অংশ নিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

সে সময় তিনি ইলভা জোহানসনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছিলেন।

বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানিয়েছিলেন, বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি লিখেছিলেন, ‘ইইউ-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব অনেক দূর এগিয়েছে। আমরা একাধিক ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছি, যেগুলোতে একসঙ্গে কাজ করে এই অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি।’ সমপ্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশকে ইইউ সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। অন্যদিকে, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, ইউরোপে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ফেরত আনার জন্য ইইউ’র সঙ্গে সরকারের চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ যে বৈধপথে অভিবাসন চায় এ চুক্তি তারই প্রতিফলন বলেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বহু বাংলাদেশি অবৈধভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করেন। গত বছর ‘ইনফোমাইগ্রেন্টস’ জানিয়েছিল, ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে ৪৭ হাজার ৪২৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছিলেন- যাদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন বাংলাদেশিরা। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বৈধ কাগজবিহীন অভিবাসীদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ’র স্ট্যান্ডার্ড অব প্রসিডিউর (এসওপি) চুক্তি হলেও এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদান-প্রদান ও জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দিক থেকে আরও তৎপর পদক্ষেপের প্রত্যাশা করে ইইউ। এর আগে ইইউ অভিযোগ করেছিল, বাংলাদেশ সরকার এ সংক্রান্ত অনেক চিঠির জবাব দেয় না বা দিতে অনেক দেরি করে।