২০২৭ থেকে ২০২৯-এর মধ্যে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে: মমতা
পোস্ট ডেস্ক :
ভুয়া ভোটার লিস্ট নিয়ে তুলকালাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য রাজনীতি। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেগা বৈঠকের মঞ্চ থেকে বিজেপি শিবিরের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার দাবি, ‘পশ্চিমবঙ্গে এজেন্সি পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পাঞ্জাব-হরিয়ানার বহু লোকের নাম এ রাজ্যের ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। দিল্লি থেকে এসব করা হচ্ছে। আমি যতদূর জানতে পেরেছি অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস, কোম্পানি ইন্ডিয়া ৩৬০ নামে দুটি এজেন্সি আছে। তারা ডেটা অপারেটদের কাছে গিয়ে এসব তথ্য নিয়েছে। কিছু বিএলআরও-কে সাথে নিয়ে অনলাইনে কারসাজি করেছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের লোক যাতে ভোট দিতে না পারে, তাই একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে। নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই এ সব করা হচ্ছে।’
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তার বার্তা, ‘ভোটার তালিকা পরিষ্কার করতে হবে। ২০২৬ সালে আবার খেলা হবে। সেই কাজটা শুরু হবে ভোটার তালিকা পরিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে। জেলা সভাপতিদের বলব, বুথ কর্মীদের মাঠে নামান। প্রয়োজনে নির্বাচনের কমিশনের দফতরে ধর্না দেব।’
ভোটার তালিকা থেকে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার মুক্তির জন্য ১০ দিনের ডেটলাইন বেঁধে দেন মমতা। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণে সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে কমিটি গড়ে দেন। এই কমিটিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের একাধিক শীর্ষনেতৃত্ব। জেলা থেকে এই কমিটির কাছে রিপোর্ট আসবে। ওই কমিটি কাজ না করলে প্রয়োজনে নিজে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার বাছাইয়ের কাজ করবেন বলেও জানান মমতা। একইসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে টার্গেট বেঁধে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আগামী বিধানসভা ভোটে ২১৫ টা আসন পেতেই হবে। ২১৫ টা আসনের টার্গেট কোনওমতেই কম নয়। এবার বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের জামানত জব্দ করার পালা।’
বক্তব্যের শেষে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে মমতা বলেন, ‘মহারাষ্ট্র-দিল্লিতে ওরা বিজেপির খেলা ধরতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গে আমরা ধরব। যোগ্য জবাব দেব। ২০২৭ থেকে ২০২৯-এর মধ্যে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। বিজেপির আয়ু ২-৩ বছর।’