ব্রিটেন থেকে ফিরলে ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক

Published: 23 December 2020

বিশেষ সংবাদদাতা : ব্রিটেন থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে যাদের সঙ্গে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ‘নেগেটিভ’ সনদ থাকবে না, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ৭ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

পরে তারা বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টিন করবেন। তিনি বলেন, ব্রিটেনে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি যাতে বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে, সেজন্য সতর্কতা হিসেবে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বুধবার ঢাকার আশকোনার কোয়ারেন্টিন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনটি সম্পর্কে আমরা জেনেছি। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি– যারা যুক্তরাজ্য থেকে আসবে, তাদের সাত দিন কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। গত সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন করোনাভাইরাসের ‘অত্যন্ত সংক্রামক’ ওই নতুন ধরনটির সন্ধান মেলে, যা এখন লন্ডনসহ ইংল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন ধরনের এই ভাইরাস ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসেও পৌঁছে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় প্রতিবেশীসহ ৪০টির বেশি দেশ ব্রিটেনের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে; বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনার নতুন ধরনে আতঙ্কের কিছু নেই। করোনার স্বাভাবিক নীতিমালা মেনে চললেই এটি প্রতিরোধ করা যাবে। আজকের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাত দিন কোয়ারেন্টিন শেষে ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। ব্রিটেন ফেরত ব্যক্তিদের বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে আলাদা লাইন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে এসে তারা আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় কাজ সারবেন। আমরা চাই না নতুন ধরনের করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ুক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ এখন পরিস্থিতি ‘পর্যবেক্ষণ’ করছে। ‘আমরা বসে নেই। ফ্লাইট বাতিল করা হবে কিনা তা আলোচনায় আছে। আমরা অতি তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেব। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।’