ঋণের ৭৫ শতাংশ ফেরত দিল শ্রীলঙ্কা
বিশেষ সংবাদদাতা :

বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে ফেরত দিয়েছে ৫০ মিলিয়ন ডলার। এতে মোট ঋণের ১৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৭৫ শতাংশই ফেরত দিল দ্বীপরাষ্ট্রটি।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক অর্থ ফেরত দেওয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে দুই বছর আগে বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে কারেন্সি সোয়াপ চুক্তির মাধ্যমে ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলার ঋণ নেয় শ্রীলঙ্কা। এর আগে গত ২১ আগস্ট ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে তারা। এখন বাকি ৫০ মিলিয়ন বা পাঁচ কোটি ডলারও যথা সময়ে ফেরত পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২১ সালের আগস্টে ঋণ নেওয়ার সময় ৯ মাসে তিন কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের কথা ছিল।
কিন্তু তীব্র রিজার্ভ সংকটে পড়লে তিনবার সময় বাড়িয়ে ২৭ মাস পর্যন্ত সময়ের আবেদন করে শ্রীলঙ্কা। ঋণ চুক্তির শর্তমতে, ঋণের বিপরীতে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে ১.৫ শতাংশ সুদ দেবে। একই সঙ্গে লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট (লিবোর) ৫.৪ শতাংশ হার দিচ্ছে।
বিলাসী সব উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া, ভুল নীতি, দুর্নীতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে ২০২২ সালে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
তবে পর্যটন ও রেমিট্যান্সের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আসা শুরু করায় রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে দেশটি, যা এখন যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের চেয়েও কমে এসেছে।