ইসলামী ব্যাংকে ঢুকতে পারছেন না এস আলমের নিয়োগকৃতরা
বিশেষ সংবাদদাতা :
শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের প্রথম দিনেই খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যাংক, অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। তবে ব্যাংকগুলোতে লেনদেন শুরু হলেও গ্রাহক উপস্থিতি অনেক কম। তবে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ইসলামী ব্যাংকের অনেক শাখায়। ব্যাংকটি থেকে এস আলম গ্রুপের লুটপাটের বিচার দাবিতে নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
সকাল থেকে ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ করেন সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তারা। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
রাজধানীর দিলকুশায় ব্যাংকেটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এস আলমের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে ব্যাংকটির সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তারা এস আলমের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ঢুকতে বাধা দেন।
ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা বলেন, অবৈধভাবে নিয়োগের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের বসানো হয়েছিল। তাদের কারণে বৈধ নিয়োগ পাওয়াদের পদোন্নতি দেওয়া হতো না। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ারা ভুয়া লোন অনুমোদনসহ লুটপাট করে ব্যাংকটিকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। তাদের অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই চাকরি হারাতে হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আনিসুর রহমান বলেন, দখল হওয়া ইসলামী ব্যাংক খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে আসবে। ২০১৭ সালের পরে যত এক্সিকিউটিভ এসেছে, তারা আর এই ব্যাংকে ঢুকতে পারবে না। এটা এমডি সমর্থন করেছেন।
এদিকে ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের ডিএমডি রেজাউর রহমানকে মারধর করেছে আইবিবিএলের লোকজন। এছাড়া এস আলমের ‘বিশেষ কৃপায়’ প্রমোশন পাওয়া আরও অন্তত চার-পাঁচজনকে মারধর করেছে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা।
ইসলামী ব্যাংকের এক ডিএমডি জানান, তাকেও ব্যাংকে ঢুকতে দিচ্ছেনা বিক্ষুদ্ধরা।
২০১৭ সালের পর থেকে সব অবৈধ পরীক্ষাবিহীন নিয়োগ বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে এই সময় যাদের অবৈধভাবে চাকরি বাতিল করা হয়েছে তাদের চাকরি পুনরায় দেওয়া হবে। যারা গত সাত বছরে প্রমোশন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাদের যথাযথ প্রমোশন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।