‘শরীরটা আমার, ইচ্ছানুযায়ী প্রেজেন্ট করতেই পারি’

Published: 15 August 2020

চলতি বছরেই চল্লিশে পা দেবেন তিনি। জীবনের চল্লিশ বসন্তের পাশাপাশি ক্যারিয়ারেরও ২০ বসন্ত হয়ে গেলো। মডেলিং দিয়ে শুরু এরপর সিরিয়াল। ধারাবাহিক ছেড়ে সরাসরি নাম লিখিয়েছিলেন সিনেমায়, তিনি চান্দ্রেয়ী ঘোষ। কখনও পর্বতারোহী সুনীতা হাজরার চরিত্রে, কখনও যৌনকর্মীর চরিত্রে পর্দায় হাজির হয়ে নজর কাড়েন।

সময় অনেকটা পেরিয়ে গেলেও এখনও বিয়ে নিয়ে ভাবছেন না তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আমি হোপলেস রোমান্টিক। আজ একটা বিষয় বলেই ফেলি, আগে বলিনি…আমি খুব প্রেমে পড়ে যাই। তবে পড়ে যাওয়াটা ভাল নয়…খুব মেলোড্রামা, দুঃখ, কষ্ট হয়। রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওই পঙক্তি ‘বঞ্চিত করে বাচালে মরে’, ওটাই ঠিক আমার জন্য।

বিয়ে না করলেও লিভ-ইন সম্পর্কে বিশ্বাসী তিনি। তার মতে, এই বিষয়গুলো ব্যক্তিগত। তবে আমার মনে হয়, দুটো মানুষ বলতেই পারে আগে আমরা একসঙ্গে থাকি। দেখি এক ছাদের তলায় থাকতে পারি কি না!তারপর তারা বিয়ে করতেও পারেন, আবার না-ও করতে পারেন। প্রেম বা বিয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে মানুষকে নিজের মতো করে এ বার বাঁচতে দেওয়া উচিত।

ইনস্টাগ্রামে কেউ যদি শরীরচর্চা করে কম পোশাকে ছবি দেয়, তা হলে সে তার ইচ্ছেমতো করতেই পারে। আমার শরীর আমার, ইচ্ছে, রুচিসম্মতভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতেই পারি। কারও কিছু বলার নেই। আমার মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু তাই শরীর নিয়ে কোনও ছুঁৎমার্গ নেই আমার। কিন্তু কিছু ‘ডিসকমফর্ট জোন’ আছে সেখানে আমি ঢুকি না।

নেপোটিজমের শিকার হয়েছেন কিনা, এমন প্রশ্নে তার জবাব, নেপোটিজম নিয়ে আমার মত আছে একটা। কোনও স্টার কিডের ছেলেমেয়েকে তাঁর বাবা-মা শুধু লঞ্চ করতে পারেন। তার পরেরটা কিন্তু নিজেকেই করতে হয়। ঋত্বিক রোশনের বাবা তো ওঁকে নাচটা শিখিয়ে দিতে পারবেন না! রণবীর কাপুর যা চরিত্র করেছেন তা ওঁর অভিনয়ের জোরেই। আমাকে নিয়েও বলতে পারে লোকে, আমিই কেন একটানা ধারাবাহিকে এত ভাল চরিত্রে অভিনয় করছি? অন্য কেউ তো করতে পারে! ২০ বছর আছি এই ইন্ডাস্ট্রিতে। তার মানে এই নয় যে আমি ২০ বছর ধরেই টানা ভাল কাজ করে আসছি! এ যা জীবিকা আমরা জানি এমন সময় আসতে পারে যে আমি কাজ পাচ্ছি না।প্রস্তুত থাকতে হয়।